কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা - জানুন বিস্তারিত

আপনি যদি কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে না জানেন  তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্নে। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।তাই কালোজিরা সম অরকে জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
                                                                              
কালোজিরার

ভূমিকা

কালোজিরা প্রাচীন কাল থেকেই ব্যাবহার হয়ে আসছে । আমরা বেশিরভাগ সময় এটি রান্নার মসলা হিসেবে ব্যাবহার করি। কিন্তু এর অনেকগুলো ঔষধি গুনাগুন রয়েছে ।যার কারনে বিভিন্ন চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাবহার হচ্ছে । এমন কিছু গুণাগুণ যেটা আমাদের অনেক উপকারে আসে।কালজিরার গুনাগুন সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন এবং প্রতিদিন খাওয়ার চেষ্টা করবেন । কালোজিরার বিজ্ঞানসম্মত নাম হল - Nigella Sativa Linn |
প্রোটিনের একটি ভালো উৎস হিসাবে কালোজিরা উত্তম । এর ১০০ গ্রামে রয়েছে ৩০ গ্রাম প্রোটিন ।
তাছাড়া ভিটামিন এ ও আয়রন দ্বারা পূর্ণ এটি ।

কালোজিরার উপকারিতা

১.স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি ।
২.মাথা ব্যাথা নিরাময়ে ।
৩. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে ।
৪. যৌন সমস্যা সমাধানে ।
৫. হার্ট এর বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে ।
৬.বাতের ব্যাথা দূর করে ।
৭.পাইলস সমস্যা নিরাময়ে ।
বিভিন্ন নিয়মের ওপর ভিত্তি করে মোটা ও চিকন হওয়ার ইচ্ছুক দের জন্য এটি উপকারী ।
শিশুদের ক্ষেত্রে মেধার বিকাশ ঘটে ।

কালোজিরার তেলের উপকারিতা 

কালোজিরার তেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাঁড়ায় । এই তেলের উপাদান খিদে বাড়াতে সাহায্য করে । পেটের জীবাণু কে শেষ করে জমে থাকা গ্যাস কমাতে কালোজিরা সাহায্য করে।
বয়স্ক লোকদের হাত পা ফুলে গেলে তার সমাধান ও হয়ে থাকে ।
সৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে ,হৃদরোগ জনিত সমস্যার আশঙ্কা কমায় , ত্বকের সুস্বাস্থ্য , আর্থাইটিস ও মাংসপেশির ব্যাথা কমাতে কালোজিরার তেল সহায়তা করে

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে এর রস খুব তারাতারি আমাদের শরীরের সাথে মিশতে পারে ।এর ফলে দ্রুত ফল পাওয়া যায় । এটী রক্তের গ্লূকোজ কমিয়ে রাখে,যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী ।

টানা৭ দিনে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

নিয়মিত পেট খারাপের সমস্যা থাকলে কালোজিরা একটু ভেজে নিয়ে গুড়ো করে ৭-৮ চামছ দুধের সঙ্গে সকাল বিকাল ৭ দিন লাগাতার খেলে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যেতে পারে ।

মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

১ চামচ কালোজিরার তেলে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলেও ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে ।
সকালবেলা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন ।

রসুন ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

রসুন ও কালোজিরা একত্রে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে । প্রতিদিন সকাল বেলা ২ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে , পূড়ো শরীর কালোজিরার তেল মালিশ করে ৩০ মিনিট সময় রোদে বসে থাকুন ।

কালোজিরার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কালোজিরা নিয়ম মেনে ও অল্প পরিমাণে খেতে হবে । বেশী খেলে হিতে বিপরীত হোটে পারে ।
গর্ভাবস্থায় কালোজিরা খাওয়া যাবে নাহ । গর্ভাবস্তায় বেশি কালোজিরা খেলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । কালোজিরা পরিমিত গ্রহন করতে হবে । অনেক মানুষ কালোজিরা হজম করতে পারে নাহ । সেই জন্য তাদের না খাওয়ার পরামর্শ রইল । কিন্তু অল্প অল্প করে অভ্যাস করা যেতে পারে । দুই বছরের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল না খায়ানোই উচিত । কৃত্রিম বা ভেজাল যুক্ত কালোজিরার তেল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে । অনেক পুরাতন কালোজিরা তেল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । জেনে বূঝে আসল তেল ব্যাবহার করতে হবে ।

আরো পড়ুনঃ হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাচার উপায়

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url