বাংলাদেশে আসলো ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেল - জানুন বিস্তারিত

হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন বাংলাদেশের বাজারে এসেছে 350 সিসির মোটরসাইকেল। অর্থাৎ এখন থেকে বাংলাদেশে ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেল চালানো যাবে। যদি ৩৫০ সিসির মোটরসাইকেল সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি সবকিছু জানতে পারবেন। এ সম্পর্কে জানতে আমাদের পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন‌।

                                                                                                  

350 cc bike pic

ভূমিকা

বাংলাদেশের বাইকাররা তো এখন মহাখুশি। কারণ বাংলাদেশের বাজারে 350 সিসির বাইক ছাড়ার পার্মিশনস মিলেছে। তবে বিতর্ক আছে, 2022 এর এক রিপোর্টে যেখানে এক বছরে বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় প্রায় 250033 জন। সেই জায়গায় 350 সিসির বাইক এর অনুমোদন পাওয়া আসলে কি ভুল ডিসিশন,নাকি আমাদের অনেকেরই রয়েছে একটা ভুল ধারণা। আর 350 সিসি লিমিট এর বাইকের পারমিশন পাওয়ার পর বাংলাদেশে কোন কোন প্রিমিয়াম কোয়ালিটি বাইক আসতে পারে সেগুলো সম্পর্কে সমস্ত ডিটেইলস শেয়ার করব আজকের এই পোস্টে মাধ্যমে। চলুন বেশি কথা না বলে শুরু করা যাক।

মোটরসাইকেল কাকে বলে

একটি মোটরসাইকেল একটি ইঞ্জিন ও একটি দুই চাকার যানবাহন। মোটরসাইকেল সাধারণত সাইকেলের থেকে একটু বেশি বড়, ভারী এবং অনেক দ্রুত। তবে মোটরসাইকেল ও সাইকেলের মধ্যে কিছু মিল রয়েছে। সাইকেলের মতো, মোটরসাইকেলকে প্রায়ই বাইক বলা হয়। মোটরসাইকেল সারা বিশ্বে পরিবহনের একটি সাধারণ রূপ। তাছাড়া মোটরসাইকেল আমাদের দেশসহ পুরো পৃথিবীতে জনপ্রিয় একটি বাহন। যেটি যুবকরা চালাতে বেশি পছন্দ করে।

মোটরসাইকেল সিসি কি

আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মোটরসাইকেলের নাম ও তাদের সিসি সম্পর্কে শুনে বা পড়ে থাকি। কেউ বলে ১৫০ সিসির মোটরসাইকেল,কেউ বলে ২০০ সিসির মোটরসাইকেল,কেউ বলে 250 সিসির মোটরসাইকেল তো এই সিসি বিষয়টা কি?মোটরসাইকেলে সিসি-এর অর্থ কিউবিক ক্যাপাসিটি। অর্থাৎ বাইকের সিসি হল ইঞ্জিনের পাওয়ার আউটপুট. কিউবিক ক্যাপাসিটি হল বাইকের ইঞ্জিনের চেম্বারের পরিমাণ. ক্ষমতা যত বেশি, পাওয়ার উৎপাদনের জন্য কমপ্রেসড বায়ু এবং জ্বালানি মিশ্রণের পরিমাণ তত বেশি. বায়ু এবং জ্বালানী মিশ্রণের এর ফলে উচ্চ বিদ্যুৎ আউটপুট দেয়।

৩৫০ সিসির মোটরসাইকেল

বাংলাদেশ গতকালের আগ পর্যন্ত বাইকের সিসি লিমিট ছিল 165 সিসি। এই সিসি লিমিট টা বাংলাদেশে এসে পড়ে 2003 সালের পর থেকে। যার ফলে বাইকাররা এই সিসি লিমিট এর কারণে প্রিমিয়াম কোয়ালিটি বাইক গুলো বাইকাররা বাংলাদেশে চালাতে পারতো না। ওই অনলাইনে পাশের দেশ কিংবা অন্যান্য দেশের বাইকের প্রিমিয়াম বাইক চালানো দেখেই চোখের শান্তি কোনরকমে মিটাতে হতো। 

কিন্তু গতকাল রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে আনার এবং ম্যানুফ্যাকচার করার পারমিশন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে 350 সিসি লিমিট পর্যন্ত বাইক বাজারে ছাড়ার পার্মিশন দিল। কিন্তু প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের রাস্তায় এত সিসির বাইক চালালে দুর্ঘটনা কি বাড়বে নাকী এটা অনেকের ভুল ধারনা।সিসি মানে বেশি স্পিড আসলে বিষয়টা এরকম না। 

একটু এক্সাম্পল আমাদের দেশে খুব সহজেই 150 সিসির বাইক বাজার এভেলেবেল রয়েছে পালসার, অ্যাপাচি,আরটিআর, সুজুকি, জিক্সার এবং আরও বেশ কয়েকটা বাইক। বাইক গুলো 150cc হলেও এদের টপ স্পিড কিন্তু বেশি নয় । কিছু 150 সিসি বাইকের টপ স্পিড হয়তো 120 কিলোমিটার পার আওয়ার আবার কিছু 150 সিসি বাইকের টপ স্পীড 160 কিলোমিটার পার আওয়ার। 

সেখানে বুঝা যায় অধিক সীমা নেই। কিন্তু অধিক স্পিড অর্থাৎ 900 - 12 হাজার সিসির বাইক এর কিন্তু সেফটি আরো ভালো হয়। ওখানে ব্রেকিং সিস্টেম আরো ভালো হয় কন্ট্রোলিং সিস্টেম এডভান্স থাকে। তবে তরুণদের একটু সচেতন হতে হবে আদারোয়াইজ 350 ভাঙ্গা ভটভটি বাইক দিলেও ওরা ওই দুর্ঘটনা করবেই। 

এখন কোন কোম্পানি কোন বাইক আনবে, 350 সিসি লিমিট পর্যন্ত বাইকের পারমিশন পাওয়ার পর, এটা এখনই বলা মুশকিল। তবে সম্ভাব্য যে সবগুলো আসতে পারে‌। সেই বাইকগুলোর মধ্যে কয়েকটা প্রিমিয়াম কোয়ালিটি বাইক এর কথা বলব এবং গুলোর দাম সম্পর্কে জানাবো। রয়েল এনফিল্ড বাইক। রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক 350 যদি আসে তাহলে সম্ভাব্য মূল্য 6 লাখ টাকার মতো। আর রয়েল এনফিল্ড বুলেট থ্রি ফিফটি এটার মূল্য চার লাখ টাকার মতো। 

এছাড়া বাজাজ পালসার আর এস টু হানডেড এই 200 সিসির বাইক এর বাজারমূল্য পড়বে বাংলাদেশের চার লাখ টাকার মতো এবং বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ক্রুইজ 220 এটির মূল্য হবে দুই লাখ 70 হাজার টাকার মতো এবং টিডিসি আপাচি আরআর 310 বাংলাদেশের মার্কেটে এটার মূল্য পড়তে পারে ৪ লাখ টাকার মতো এবং অনিমালস লাক্সারিয়াস মডেল ইয়ামাহা আর থ্রি 321 সিসি বাইকের স্পিড কিন্তু 150 কিলোমিটার পার আওয়ার। 

বাংলাদেশের মার্কেটে এটার মূল্য পড়তে পারেন 9 লাখ 50 হাজার টাকা এছাড়া হোন্ডা সিবি ট্রিগার এর বাজারমূল্য পড়তে পারে বাংলাদেশের সাত লক্ষ টাকা সুজুকি gsx150r 10 সেকেন্ডে ০ থেকে 100 কিলোমিটার পার আওয়ার স্পিড তুলতে পারে যার টপ স্পিড148 কিলোমিটার পার আওয়ার এবং 250 সিসি বাইক এর বাজার মূলা বাংলাদেশ পড়তে পারে 5 লক্ষ টাকা এছাড়া আরো প্রিমিয়াম কোয়ালিটি বাইক এর মধ্যে আসতে পারে। 

কাওয়াসাকি নিনজা টু ফিফটি যার বাজারমূল্য পড়তে পারে বাংলাদেশ 19 লক্ষ টাকা এবং কাওয়াসাকি বাজাজ 125 যার বাজারমূল্য পড়তে পারে 7 লক্ষ টাকা আনহুরবাজাজ 125 যার বাজারমূল্য পড়তে পারে 7 লক্ষ টাকা আনহুর নিয়ার ফিউচার হয়তো বিএমডব্লিউ আর এই বাইকটা বাংলাদেশের রাস্তা দেখা যেতে পারে যেটা বাজারমূল্য হতে পারে বাংলাদেশ 19 লক্ষ 50 হাজার টাকা। মোটকথা ভাই ড্রিম ব্রাইক আসতে পারে বাংলাদেশের বাইকারদের জন্য।

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৩

২০২৩ সালে এসে বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি ১২ হাজার ২৬৭ টাকা(12267)।একটা সময় ছিলো যখন শুধুমাত্র মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করতে হলে অনেক ফি লাগতো। কিন্তু তারপর সেটা কমানো হয়। কমানোর পর শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন ফি করা হয়েছিলো দশ হাজার ১৫২ টাকা (10152) মাত্র। কিন্তু ২০২৩ সালে এসে বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে , তাই 2013 সালে বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি ১২২৬৭ টাকা।

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করার নিয়ম

আপনি যদি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স অনলাইনে নবায়ন করতে চান তার জন্য আপনাকে প্রথমেই বিআরটিএ(BRTA)ওয়েবসাইট থেকে মোটরসাইকেল লাইসেন্স রিনিউ করার যে ফর্মটা আছে সেটা সংগ্রহ করতে হবে। তাছাড়া আবেদন ফরমের পাশাপাশি নবায়নের জন্য এক ধরনের মেডিকেল সম আছে যা আপনি উত্তর সাইডে পেয়ে যাবেন। তারপর উক্ত ফর্ম দুটি পূরণ করার পরে বাকি কাজগুলো আপনাকে বিআরটিএ(BRTA) অফিসে গিয়ে সম্পন্ন করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ দেজা ভু ইফেক্ট বা পূর্বদৃষ্টি কি জেনে নিন বিস্তারিত

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url