গর্ভবতী মায়ের ১০ মাসের আমল - গর্ভবতী মায়ের আমল সমূহ

আপনি যদি গর্ভকালীন সময়ে আপনার এবং সন্তানের এবং একজন নেক্কার বান্দা বা বান্দি হিসেবে আমল করতে চান। তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। এই পোস্টে আমরা গর্ভবতী মায়ের ১০ মাসের আমল এবং গর্ভবতী মায়ের আমল সমূহ  আলোচনা করব।
                                                                         
গর্ভবতী মায়ের আমল সমূহ

ভুমিকা

নারী গর্ভবতী থাকা অবস্থায় বেশিরভাগ সময় বিশ্রামে থাকে। তাই সকল গর্ভবতী নারীর উচিত একজন নেক্কার বান্দা হিসেবে এই পুরো সময়টাকে কাজে লাগানোর। । আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় ব্যাপার সন্তান যদি শুনতে শিখে এবং এবং আপনার করা আমল তার কানে সর্বপ্রথম পৌঁছে যায় তাহলে অবশ্যই সে সন্তান নেক্কার হবে। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাকে জানাবো গর্ভকালীন ১০ মাসে আপনি কি কি আমল করা উত্তম। যদি আপনি এ বিষয়ে জানতে চান অবশ্যই পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

গর্ভবতী মায়ের ১০ মাসের আমল

গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের আমল

একজন নারীত্ব ও উচিত সবসময়ই আল্লাহর এবাদত করা এবং আমল করা কিন্তু গর্ভকালীন অবস্থায় প্রথম তিন মাসের জন্য নির্দিষ্ট কিছু আমল রয়েছে যা এখানে তুলে ধরা হলো। এক হাদিসে এসেছে যে সন্তান গর্ভে ধারণ ধারণ করার পর প্রথম মাস থেকে শুরু করে দ্বিতীয় মাসের মধ্যে সময়ে গর্ভবতী মাকে সূরা লোকমান ও সূরা ঈনশিকাক পড়তে হবে। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে এই দুইটি সূরা আমরা কেন তেলাওয়াত করব। এর কারণ হলো সূরা লোকমান পাঠ করলে গর্ভের সন্তান অত্যন্ত জ্ঞানী অতীর্ণ বুদ্ধির অধিকারী হবে। অর্থাৎ গর্ভকালীন অবস্থায় সূরা লোকমান পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা আপনার সন্তানকে নিয়ে বুদ্ধির অধিকারী হিসেবে পৃথিবীতে পাঠাবে। এছাড়া সূরা ঈনশিকাক পাঠ করলে আপনার গর্ভের সন্তান সকল প্রকার ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে। একজন মা হিসেবে আপনার উচিত এই দুইটি সূরা নিয়মিত পাঠ করা।

গর্ভবতী মায়ের মাঝখানের তিন মাসের আমল

গর্ভকালীন অবস্থায় প্রথম তিন মাস মায়ের একটু কষ্ট হয় তবে মাঝখানের তিন মাসে মা একটু সুস্থ অনুভব করে। তবে নিজের সন্তানকে আরো সুরক্ষিত করতে এবং নিজের আমলনামা বৃদ্ধি করতে আপনাকে এই চার নম্বর মাস থেকে মাস পর্যন্ত সূরা আল ইমরান ও সূরা ইউসুফ নিয়মিত পাঠ করতে হবে। গর্ভকালীন অবস্থার এই সময়ে এই দুটি সুরা পাঠ করার ফজিলত অনেক। চতুর্থ মাস থেকে এছাড়া পাঠ করার মাধ্যমে আপনার সন্তানের গঠন ও জিসমনি উভয় দিক দিয়ে সুন্দর হয় অর্থাৎ আপনার পেটে যে সন্তান রয়েছে তার চেহারা ও রূপ উত্তম ভাবে গড়ে ওঠে। এর পাশাপাশি আপনি যদি সূরা আল ইমরান তিলাওয়াত করেন তাহলে আপনার সন্তান দিনের প্রতি আগ্রহী হবে অর্থাৎ ইসলাম প্রেমী হবে।

গর্ভবতী মায়ের শেষ তিন মাসের আমল

আপনি যখন শেষের তিন মাসে পৌঁছাবেন অর্থাৎ সাত মাস থেকে আপনাকে অবশ্যই অতিরিক্ত সতর্কিত থাকতে হবে আপনার এবং আপনার সন্তানের সুস্থতার জন্য। এই সময় গর্ভে থাকার সন্তান এবং সন্তানের মার মন চঞ্চল থাকে। আর এই সময়টাতে বাচ্চার মাকে অবশ্যই ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়। তাই এই সময় সূরা মুহাম্মদ এবং সূরা মারিয়াম তিলাওয়াত করা অনেক ফজিলত পূর্ণ। পাঠ করার মাধ্যমে আপনার সন্তান পরহেজগার ও ভীরু হবে। 

আর সবথেকে বড় কথা হল আপনার সন্তান যদি বাবা-মার এবং আল্লাহর হয় এবং আল্লাহ ভীর হয় তাহলে বাবা মার জন্য এর থেকে বড় খুশি আর কিছু হতে পারে না। এছাড়া সূরা মুহাম্মদ পাঠ করার ফলে গর্ভের সন্তানের চরিত্র অনেক সুন্দর এবং আদর্শবান একজন চরিত্র গড়ে ওঠে । তাই আমাদের পরামর্শ হবে গর্ভকালীন অবস্থায় এই আমলগুলো নিয়মিত করা যাতে আপনার গর্ভে থাকার সন্তানের খেয়াল পুরোপুরি রাখা সম্ভব হয় এবং আপনার আমলও ঠিক থাকে।

গর্ভবতী অবস্থায় পেটে ব্যথা হলে কি করনীয়?

গর্ভাবস্থায় ইউটেরাসের হাড়গুলো প্রসারণের ফলে মূলতঃ পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। ভ্রূণ যত বৃদ্ধি পেতে থাকে তত ইউটেরাসের আভ্যন্তরীণ পর্দায় চাপ সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের সময় থেকে পেটের দুইপাশে ব্যথা হয়। যদি আপনার বামদিকে কিছুটা ব্যথা হয় তাহলে বুঝতে হবে যে ইউটেরাসের ডানদিকে কোনো পরিবর্তন ঘটছে।

আমার স্বামী কখন বাইরে থেকে বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করে

অনেকের জন্য, এটি 24 এবং 28 সপ্তাহের মধ্যে ঘটবে, টুগুড বলে, তবে সেই পরিসরটি 20 থেকে 30 সপ্তাহের মতো বিস্তৃত হতে পারে। সাধারনত, যাইহোক, বেশিরভাগ প্রিয়জন তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বাইরে থেকে শিশুর লাথি অনুভব করতে পারে, সিনথিয়া ফ্লিন, এমডি, ফ্লোরিডা-ভিত্তিক ওব-গাইন JustAnswer-এর সাথে যোগ করেছেন।

গর্ভবতী অবস্থায় পেটে ব্যথা হলে কি করনীয়?

গর্ভাবস্থায় ইউটেরাসের হাড়গুলো প্রসারণের ফলে মূলতঃ পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। ভ্রূণ যত বৃদ্ধি পেতে থাকে তত ইউটেরাসের আভ্যন্তরীণ পর্দায় চাপ সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের সময় থেকে পেটের দুইপাশে ব্যথা হয়। যদি আপনার বামদিকে কিছুটা ব্যথা হয় তাহলে বুঝতে হবে যে ইউটেরাসের ডানদিকে কোনো পরিবর্তন ঘটছে।

বাচ্চার নড়াচড়া কেমন হয়?

২৮ থেকে ৩৬ সপ্তাহ গর্ভকালের সময় এ সবচেয়ে বেশি নড়াচড়া বোঝা যায়। এতে মায়েরা অভ্যস্তও হয়ে পড়েন। সাধারণত খাওয়াদাওয়ার পর নড়াচড়া বেশি বেড়ে যায়। ৩৬ থেকে ৪২ সপ্তাহ গর্ভকালে গর্ভস্থ শিশু আকারে কিছুটা বড় হয়ে যায় এবং তার নড়াচড়ার জায়গা কিছুটা কমে যায়।

লেখকের শেষ কথা

আমাদের আজকের পোষ্টের আলোচ্য বিষয় ছিল গর্ভবতী মায়ের দশ মাসের আমল. আমরা ইতিমধ্যে আপনাদেরকে কিছু আমল সম্পর্কে অবগত করেছি যেগুলোর মাধ্যমে কোন নারী গর্ভাবস্থায় নিজের সন্তান এবং নিজেদের জন্য আমল করতে পারবে. আমাদের এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন যাতে অন্যরাও এই পোস্টটি জানতে পারে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে পারে. আমাদের ওয়েব সাইটটি ভিজিট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url