১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা - ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বক্তব্য স্ট্যাটাস রচনা পোস্ট

১৫ আগস্ট বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে আমাদের দেশে অনেক প্রতিযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে, যেখানে 15 আগস্ট নিয়ে বক্তৃতা ,রচনা কবিতা ইত্যাদি দিয়ে অংশগ্রহণ করতে হয়। আমাদের এই পোস্টে আপনারা এ সকল বিষয়ই পাবেন । আপনারা যদি আমার এই পোস্টটি পুরো পড়েন তাহলে আশা করা যায় আপনি ১৫ই আগস্ট সম্পর্কে ভালো একটি বক্তব্য দিতে পারবেন।
                                         


ভূমিকা

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন। ঐ দিন তিনি ছাড়াও তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব নিহত হন, এবং তাদের পরিবার এর সদস্য ও আত্মীয়স্বজনসহ আরো ১৬ জন নিহত হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের এমন এক রাষ্ট্র নায়কে, যিনি না থাকলে হয়তো বাংলাদেশ নামক শব্দটা কখনো থাকত না।

আমরা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে 15 আগস্ট এর সেই দিন সম্পর্কে কিছু বক্তব্য, কবিত্‌ স্ট্যাটাস, তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি পড়লে আপনারা ১৫ আগস্ট সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, বক্তব্য, কবিতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

১৫ ই আগস্ট কতজন শহিদ হন ?

১৫ই আগস্ট শহীদ হওয়া মানুষের সংখ্যা হল ৫ জন
  1. বেগম আবদুর রব সেরনিয়াবাত
  2. বেগম আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ
  3. বিউটি সেরনিয়াবাত
  4. আবুল খায়ের আবদুল্লাহ
  5. হেনা সেরনিয়াবাত

১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আমাদের দেশে কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে 15 আগস্ট অথবা জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে একটি বক্তব্য দিতে হয়। তো ১৫ই আগস্ট সম্পর্কে কিভাবে বক্তব্য দিতে হয় তা নিচে জেনে নিন। আপনারা যাতে খুব সহজে এ সম্পর্কে বক্তব্য দিতে পারেন সেজন্য কিছু নমুনা তুলে ধরা হলোঃ

আসসালামু আলাইকুম,

আমি সবার আগে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এই অনুষ্ঠানের সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং অনুষ্ঠানের আয়োজকদের প্রতি যাঁরা আমাকে এই মহৎ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।"যদি রাত পোহালে শোনা যেতবঙ্গবন্ধু মরে নাই।'হ্যাঁ, মাননীয় সভাপতি ও সুধীবৃন্দ এটা শুধু নিছক গান নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির হৃদয়ের বেদনার্ত হাহাকারের সুর। যে সুরে ধ্বনিত হয়েছে সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ পিতার সকরুণ বেদনা, সমগ্র জাতির কণ্ঠে এই বেদনাবিধুর সুর ধ্বনিত হয়েছে বিশ্ববিধাতার কাছে সকরুণ ফরিয়াদ হিসেবে।

ধ্বনিত হয়েছে সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ পিতার সকরুণ বেদনা, সমগ্র জাতির কণ্ঠে এই বেদনাবিধুর সুর ধ্বনিত হয়েছে বিশ্ববিধাতার কাছে সকরুণ ফরিয়াদ হিসেবে।সুধীবৃন্দ,বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতীর জন্য এক চরম কলঙ্কজনক অধ্যায়। আপনারা জানেন, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পশ্চিমা হানাদারদের বিরুদ্ধে জীবনপণ সংগ্রাম করে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের সগৌরব উত্তরণ ঘটিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রমের যে আহব্বান জানানো হয়েছিল তাতে সাড়া দিয়ে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বীর জাতি হিসেবে বাঙালি বিশ্বের বুকে অনন্য ইতিহাসের সৃষ্টি করেছে। এর জন্য ত্রিশ লক্ষ বাঙালিকে আত্নহুতি দিতে হয়েছে। এই সংগ্রাম ও স্বাধীনতার পিছনে বঙ্গবন্ধুর সীমাহীন প্রেরণা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। অথচ ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস!

ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন পড়েই কয়েকজন বিপথগামী সেনা সদস্যের উচ্চাকাঙ্খার জন্য তাঁকে সপরিবারে প্রাণ দিতে হলো। শোকসাগরে ভাসল সারা দেশবাসী। এতে সারা বিশ্ববাসী স্তম্ভিত হলো। স্বাধীনেই সোনার বাংলা গঠন করার লক্ষ্যে তিনি যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তা এভাবেই হৃদয়বিদারক পরিণতি লাভ করে।

সুধীবৃন্দ,

আজকের এই দিনে শোক দিবস পালন করার মানে এই নয় যে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্য অশ্রু ঝরাবো।তিনি একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি হল এই দেশকে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমরা যদি শেষ ক্ষতি করতে পারি তাহলেই হবে তার প্রতি আমাদের সবথেকে বড় শ্রদ্ধাঞ্জলি। কিছুদিন দেরি হলেও সেই মহানায়কের হত্যাকারীদের প্রাপ্য শাস্তি হয়েছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এবার জাতির শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে জাতিকে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেয়ার সাধনায়আত্মনিয়োগ করতে হবে।

বাঙালি জাতির স্বাধীনতা যেমন পরম গৌরবের, তেমনি স্বাধীনতার মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আত্নত্যাগের সাধনাও পরম আকাঙ্কিত। শিক্ষার অভাব ও দারিদ্র্য জন-জীবনকে বিপর্যস্ত করেছিল। স্বাধীন দেশে সাম্প্রতিককালে শিক্ষায় যেমন অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, তেমনিভাবে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংম্পূর্ণতা এসেছে। স্বাধীন দেশের এই মর্যদা বজায় রাখার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে এগিয়ে যেতে হবে।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।তাঁর মহান আদর্শকে প্রতিটি বাঙালরি জীবন প্রতিফলিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিবেদিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে যদি সর্বশক্তি নিয়ে আত্মনিয়োগ করা যায় তাহলেই জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে।

সুধীবৃন্দ,

এই দিনটাকে শোক প্রকাশের দিন বলে বিবেচনা না করে সংকল্প গ্রহন করার দিন বলে বিবেচনা করতে হবে। সে সংকল্প হবে উন্নত বাংলাদেশ গঠন করার । আসুন আমরা সেই মহৎ উদ্দেশ্য সফল করার লক্ষে কঠোর পরিশ্রম করি ।বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। খোদা হাফেজ।

১৫ আগস্ট সম্পর্কে কবিতা

স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো-নির্মলেন্দু গুণ

একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে
ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’
এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,
এই বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,
এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না৷
তা হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি?
তা হলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে
ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হদৃয় মাঠখানি?
জানি, সেদিনের সব স্মৃতি ,মুছে দিতে হয়েছে উদ্য
কালো হাত৷ তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ
কবির বিরুদ্ধে কবি,
মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ,
বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল,
উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান,
মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ … ৷
হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি,
শিশু পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি
একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে
লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প৷
সেই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর৷
না পার্ক না ফুলের বাগান, — এসবের কিছুই ছিল না,
শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যেরকম, সেরকম দিগন্ত প্লাবিত
ধু ধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়৷
আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল
এই ধু ধু মাঠের সবুজে৷

কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে
এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক,
লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,
পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক৷
হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,
নিম্ন মধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ, বেশ্যা, ভবঘুরে
আর তোমাদের মত শিশু পাতা-কুড়ানীরা দল বেঁধে৷
একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল
প্রতীক্ষা মানুষের: “কখন আসবে কবি?’ “কখন আসবে কবি?’

শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন৷
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হদৃয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷’

জাতীয় শোক - সামিরা খাতুন পাশা

১৫ আগষ্ট, জাতীয় শোক ---
আকাশ, বাতাস, প্রকৃতি অশ্রুসিক্ত হোক!
মর্ম ছেড়া আর্তনাদের রক্ত, অশ্রুর প্লাবন,
সাথে মিলে মিশে একাকার অঝোর শ্রাবণ।
কবিতার খাতা জুড়ে রচে যাই সেই শোকার্দ্র বাণী,
অপারগ হাতে টেনে যাই সুনাগরিকের পদস্খলনের ঘানি।
কাঁদলো আকাশ, কাঁদলো বাতাস শ্রাবণ ধারা ক্ষণে,
একি বেদন রচিত হল বাংলার আপামর জনমনে।
বাংলার ঘরে জ্বেলেছ আশার প্রদীপ শেখ মুজিবুর রহমান,
৭ই মার্চের ভাষণে করেছ প্রাণ সঞ্চার, হয়েছ মহান।
পরাধীনতার শিকল খুলে সাহস জুগিয়েছ বাঁচার,
স্বাধীনভাবে স্বদেশে গড়তে নিজ ভাষা, সংস্কৃতি, আচার।
অবিসংবাদিত নেতা তোমায় শ্রদ্ধায় করি স্মরণ,
তোমার উদাত্ত কন্ঠের আহবানে স্বাধীনতা করেছি বরণ।
বাঙালী জাতির পিতার বুকে চলে গুলি বর্ষণের ছন্দপতন,
জীবন দিয়ে প্রতিদান দিলেন, যিনি এনেছেন বাঙালীর চেতন।
ঘাতকেরা উপহার দিল রক্তমাখা ঘুটঘুটে অন্ধকার,
সে অন্ধকার অধ্যায় আজও মনে আনে অপূরণীয় হাহাকার।
ভালবেসে যে জনতা দিল বঙ্গবন্ধু উপাধী
ক্ষমতা লিপ্সু কিছু হায়েনার হাতে হল তোমার ব্যথাতুর সমাধী।
সাত কোটি মানুষের হাত ধরে ভালবাসায় হলে সিক্ত,
কোন্ সে লোভীর হাতে ঝড়াতে হল পরিবারের তাজা রক্ত।
বড় কাছের প্রিয়জনই কেবল বিশ্বাসঘাতক হয়,
যুগে যুগে ঘটে যাওয়া অসম ইতিহাস কয়।
আজও দাঁড়িয়ে ঢাকা ধানমন্ডি বত্রিশ, তোমার স্মৃতি ধরে,
আনাচে কানাচে ছোঁয়া তোমার, রক্তও থরে থরে।
উনিশ শত পঁচাত্তরের পনের আগষ্ট, গগণ বিদারি কান্না,
সারা বিশ্ব স্মরণ করে সে ক্ষণ, বয়ে যায় বেদনার বন্যা।
স্বাধীন বাংলা যেমন মোদের অহংকার, তেমনি যে তুমি,
তুমিহীনে শূন্য মোরা, শুণ্য মোদের প্রিয় মাতৃভূমি।
বঙ্গবন্ধু তুমিতুমি আমার ভূঁই-চামেলি, কৃষ্ণচূড়া-পলা বেশি
তুমি আমার কংস গড়ায়
মধুমতির ঢেউ,
তোমার আসন কেড়ে নিতে কেউ পারে না কেউ
তুমিই দিলে বাঙালিকে প্রাণের স্বদেশভূমি
সব বাঙালির প্রাণের নেতা- বঙ্গবন্ধু তুমি।

১৫ আগস্ট সম্পর্কে স্ট্যাটাস ও উক্তি

শোকাবহ আগস্ট নিয়ে উক্তি

 ১
"তুমি জন্মেছিলে বলে জন্মেছে এই দেশ,
মুজিব তোমার আরেক নাম স্বাধীন বাংলাদেশ"❤️💚
১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। মহান স্বাধীনতার স্হপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল সহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। 🖤🖤
মহান আল্লাহ সবাইকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন আমিন। 🤲
১৫ ই আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। ইতিহাসের পাতায় সবচেয়ে বর্বর, জঘন্য এবং নৃশংসতম একটি হত্যাকান্ড। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ নিহত সকলের প্রতি জানাই বিনস্ত্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। আর ঘৃণ্য এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের সকলের প্রতি রইল একরাশ ঘৃণা।
আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব এবং সাহসিকতায় তিনিই হিমালয়।
– ফিদেল কাস্ত্রো
ঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে বাঙলাদেশই শুধু এতিম হয় নি বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহান সন্তানকে।
– জেমসলামন্ড
মুজিব হত্যার পর বাঙালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে।
– উইলিবান্ট

১৫ ই আগস্ট নিয়ে স্ট্যাটাস

সবাঙালি জাতীয়বাদ না থাকলে আমাদের স্বাধীনতার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।

দেশ থেকে সর্বপ্রকার অন্যায়, অবিচার ও শোষণ উচ্ছেদ করার জন্য দরকার হলে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করব।

১৫ ই আগস্ট ১৯৭৫ , জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারের সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ভিক্ষুক জাতির কোন ইজ্জত থাকে না। বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে এনে দেশকে গড়া যাবে না। দেশের মধ্যে পয়সা করতে হবে।

এখনো রক্তের রং ভোরের আকাশে। যে রক্ত শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, হত্যা করেছে সে বাংলাদেশের স্বপ্নকেও।

১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস।বাংলার আকাশ-বাতাস আর প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন । পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেড়া অশ্রুর প্লাবনে ।

দেশকে ভালোবাসার আগে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে জানো। কেননা তিনি শুধু স্বাধীনতার স্থপতি নন, তিনি আমাদের সমগ্র এবং বাংলাদেশের প্রাণ।

দেশের সাধারণ মানুষ যারা আজও দুঃখী, যারা আজও নিরন্তর সংগ্রাম করে বেঁচে আছে, তাদের হাসির-কান্না, সুখ-দুঃখকে শিল্প-সাহিত্য- সংস্কৃতির উপজীব্য করার জন্য শিল্পী, সাহিত্য ও সংস্কৃতিসেবিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

শেষ কথা

শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন এবং 1971 সালের বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। বাংলাদেশের জনগণ তাঁকে "বঙ্গবন্ধু" (বাংলার বন্ধু) নামে স্মরণ করে।শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি হতাশা জনকঘটনা। 1975 সালের 15ই অগাস্ট রাতে, শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে তাঁর পরিবারের সদসসহ ১৬ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের হত্যা একটি হৃদয়বিজারক ঘটনা, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি সংগেত পৃষ্ঠা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর স্মৃতি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ের স্থাপিত রয়েছে। তার শরীরকে মুছে ফেললেও তার অস্তিত্ব কখনোই মেটাতে পারবে না। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হোক বাংলার মানুষের।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url