বহুল ব্যবহৃত ঔষধের নাম ও কাজ গুলি জেনে নিন

এমন কিছু ঔষধ আছে যেগুলো মানুষের দেহের কিছু রোগ নিরাময় করে এবং সেই সাথে দেহের কিছু অংশের জন্য ক্ষতিকারক। আপনি যদি এইসব ঔষধ সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনার জন্য। এই ওষুধগুলো সম্পর্কে জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
                                                             
ওষুধের পিক

ভূমিকা

আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক ঔষধ সেবন করে থাকি। তবে আমরা অনেকেই জানিনা আমাদের সেবন্ত্রিত ঔষধ আমাদের দেহে কি ধরনের প্রভাব ফেলে বা এর কাজ কি। কিছু কিছু ঔষধ আছে যেটা আমাদের কিছু রোগ নিরাময় করে সেই সাথে আমাদের দেহের ক্ষতিও করে থাকে। আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাকে এমন কিছু ঔষধের সম্পর্কে জানাবো যেগুলো একই সাথে আপনার রোগ নিরাময় করে এবং আপনার দেহের ক্ষতি করে। আপনি যদি এগুলো সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের পোস্টটি পড়ুন।

প্যারাসিটামল

প্যারাসিটামল সাধারণত জ্বর এর তাপমাত্রা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া এই ওষুধটি অনেকে ব্যথা নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করে থাকে। প্যারাসিটামল মূলত একটি ট্যাবলেট যা পেটব্যথা মাথাব্যথা পেট ব্যথা দাঁত ব্যথা ইত্যাদি ব্যথা নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।মূলত এই ওষুধটি হালকা জ্বর কমানোর জন্য বেশি ব্যবহৃত। তবে এই প্যারাসিটামল এর কিছু সাইড ইফেক্ট আছে। 

যদি কেউ বেশি পরিমাণে প্যারাসিটামল গ্রহণ করে তাহলে সে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হবে।অতিরিক্ত মাত্রায় Paracetamol নানা ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে যেমন ঃকোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে এতে পেটের ভিতরে রক্তক্ষরণ হতে পারে Paracetamol বেশি মাত্রায় খেলে হজমের সমস্যা হয়, বিপাক হার কমে যেতে পারে লিভারের ক্ষতি হতে পারে এর ফলে কিডনির ক্ষতি হয়

অ্যান্টিবায়োটিক

অ্যান্টিবায়োটিক এর মূল কাজ হল ব্যাকটেরিয়াজনিত যে সকল অসুখ আছে সেগুলোকে নিরাময় করা অর্থাৎ মানবদেহে যদি কোন ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার করে তাহলে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ হলো সে সকল ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার রোধ করা এবং রোগ নিরাময় করা। এন্টিবায়োটিক মানুষ এবং পশু উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই এন্টিবায়োটিক টি জ্বরের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ জ্বর যদি একশ দুই বা একশ এক ডিগ্রির উপরে চলে যায় তখন এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়। 

তবে আমাদের দেশে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্ড্রোবায়োটিক সেবন করা এবং বিক্রি করা দুটি বেআইনি। তাই ডক্টরের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। তবে এই অ্যান্ড্রবায়োটিক এর কিছু 500 প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেমন কোন রোগীর যদি এলার্জি হয়ে থাকে। 

আর সে যদি এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করে থাকে তাহলে ওষুধ সেবনের সাথে সাথে তার গায়ে চুলকানি শুরু হবে এবং বিভিন্ন ধরনের রেশ বা ফোড়া দেখা দিতে পারে। তাছাড়া শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও হতে পারে তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এন্ড্রয়েটিক গ্রহণ করলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। টাইফয়েডের জন্য এক ধরনের এন্ড্রোবায়োটিক ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় যেটির মাধ্যমে টাইফয়েডের ভাইরাস দূর করা হয়। 

তবে এই ইনজেকশনটি দেওয়ার একটি নির্দিষ্ট এবং নিয়ম রয়েছে সেটি হল এই ইনজেকশনটি এক মিনিটের বেশি সময় ধরে শরীরে প্রবেশ করাতে হবে নয়তো রোগীর লাঞ্চ ফেটে মারা যেতে পারে। তাই এই ধরনের ইনজেকশন দেওয়ার আগে অবশ্যই এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য ও জ্ঞান নিয়ে তারপরে এগুলো দিতে হবে।

নাপা এক্সট্রা

এই ওষুধটি বর্তমানে আমাদের মাঝে বহুল পরিচিত একটি ঔষধ। যদি কোন ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে তার প্রথম খেয়াল আসে নাপা এক্সট্রা এর কথা। অনেকে জানেন না যে ৩০ বছরের কম বয়সী মানুষদের এই ওষুধ সেবন করা উচিত নয় এতে তাদের শরীরের ক্ষতি হতে পারে। ক্ষতি হতে পারে বলল ভুল হবে তাদের শরীরে ক্ষতি হবেই। কারণ আমাদের শরীরে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত এক ধরনের হরমোন সৃষ্টি হয়। 

যেটি আমাদের বিভিন্ন শারীরিক গঠন এবং যৌন শক্তিকে বৃদ্ধি করে। আরে নাপা এক্সট্রা ওষুধ গ্রহণ করার ফলে আমাদের সেই হরমোনটির মাত্রা কমে যায় অর্থাৎ নাপা এক্সটার যেই উপাদান গুলো আছে সেগুলো ওই হরমোনের উপাদানগুলোকে আস্তে আস্তে খেয়ে ফেলে ফলে আমাদের শরীরের বেশ কিছু গঠন এবং যৌন শক্তি কমে যায়। 

তাই আমরা চেষ্টা করব নাপা এক্সট্রা পরিহার করতে এবং শুধুমাত্র যে নাপা ঔষধটি পাওয়া যায় সেটি ব্যবহার করতে। হয়তো নাপা এক্সট্রা পরিবর্তে নাপা সেবন করলে কার্যকারিতা একটু কমে যাবে অর্থাৎ কাজ ঠিকই হবে কিন্তু একটু আস্তে আস্তে হবে কিন্তু আপনার শরীর ঠিক থাকবে তাই নিজে ডাক্তার না হয়ে সঠিক ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। একদিন স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তাই আগে স্বাস্থ্য ঠিক রাখুন তারপর বাকি কিছু।

যৌন উত্তেজক ঔষধ

আমাদের সমাজে এমন কিছু লোক আছে যারা যাদের যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন ধরনের যৌন উত্তেজনাব বৃদ্ধি করা এমন ঔষধ সেবন করে থাকে। তবে তারা জানে না যে এসব ঔষুধগুলো তাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব ঔষুধের মধ্যে নানারকম নেশাদ্রব্য জিনিস ও মেশানো থাকে। ছাড়া এসব ঔষধ দিন দিন আপনাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে নিয়ে যাবে। 

আপনি যদি নিয়মিত এই ওষুধগুলো সেবন করতে থাকেন তাহলে আপনার শরীর মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে। দীর্ঘদিন এই ওষুধ সেবনের ফলে আপনার কিডনি লিভার নষ্ট হতে পারে এমনকি আপনি যৌন বিকলাঙ্গ হয়ে যেতে পারেন। 

এই ওষুধগুলো যে ক্ষতি কর সেগুলো চেনার কিছু লক্ষণ হলো এই ওষুধ সেবনের পর চোখ বাঘের চোখের ন্যায় লাল হয়ে যায়। শরীরের ভিতর মারাত্মক অস্থিরতা কাজ করে। প্রস্রাবে ইনফেকশন হয় এমনকি ফোটায় ফোটায় প্রস্রাব বের হয়। প্রচন্ড মাথা ব্যথা হয়। এই লক্ষণগুলো যদি আপনি আপনার ভেতর লক্ষ্য করেন তাহলে বুঝতে পারবেন আপনি যৌন উত্তেজক ওষুধগুলো খেয়ে অনেক বড় ভুল করছেন আপনার যদি আসলেই এরকম কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে বিজ্ঞাপনে মুগ্ধ না হয়ে সঠিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা নিন এবং নিজে সুস্থ থাকুন ‌।

লেখকের শেষ কথা

এই দেহটি আমাদের। আর এই দেহের সঠিক পরিপালন এবং দেহে সুস্থতা বজায় রাখার দায়িত্ব আমাদের। আমরা দৈনন্দিন জীবনে অনেক ওষুধ সেবন করে থাকি কিন্তু অনেকে আছি এসব ঔষধ সম্পর্কে তেমন ধারণা নাই এবং কোন ওষুধ কোন সময় এবং কোন রোগের ক্ষেত্রে কার্যকরী তা না জেনে বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে থাকে। 

যা আমাদের শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। আমরা আশা করব আমাদের এই পোস্টটি পড়ার পর আপনি সতর্ক হবেন এবং সঠিক জ্ঞান এবং সঠিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি ওষুধ সেবন করবেন। কিছুই বেশি নয় এই কথাটি আপনারা হয়তো জানেন তেমনি বেশি বেশি ওষুধ সেবন করলে যে আপনি সুস্থ থাকবেন এমন না। 

যতটুকু জরুরী সেই পরিমাণের ওষুধটি আপনি ব্যবহার করুন এবং যেই ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত সেখানেই ব্যবহার করুন। আশা করি আমাদের এই পোষ্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন যদি আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনি কিছু শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন যাতে অন্যরাও এই বিষয়ে জানতে পারে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুনঃঘরোয়া উপায়ে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করার উপায়

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url