বিসিএস ভাইভা অভিজ্ঞতা - বিসিএস ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর

অনেকে আছেন যারা Bcs বা অন্যান্য জবের ভাইবার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চান। তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে নিয়েছি এমন একটি ভাইয়ের ভাইভা বোর্ডের অভিজ্ঞতা যা আপনার জানা থাকলে আপনি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারবেন. তো চলুন জেনে নেই বিসিএস ভাইভা অভিজ্ঞতাটি.

                                                                   

বিসিএস ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর

বিসিএস ভাইভা অভিজ্ঞতা

NSI Field Staff পোস্টের ভাইভাতে এত প্রশ্ন করবে কখনোই ভাবিনি । যতটুকু মনে পড়ছে তুলে ধরার চেষ্টা করছি । ভাইভা বোর্ডে ৪জন ছিলেন । 

শুরুতেই সালাম দিয়ে রুমে প্রবেশ করলাম ( আলহামদুলিল্লাহ বোর্ডের সকলেই খুবি আন্তরিক ছিলেন) 

১ম জন নাম বলুন---- বললাম 

আপনার নামের সাথে মিল আছে এমন দুইজন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম বলুন-- গদগদ কররে বলেছি.. এবার একেক করে আপনার একাডেমিক রেজাল্ট, পরীক্ষার সাল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম সহ বলুন- শুর করে দিলাম । 

এখন কিছু করেন?--- এই প্রশ্ন করার পর খুব স্বস্তি পেলাম কারণ ব্যাংকিং সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে, বললাম( আসলেই তাই হয়েছে । ব্যাংক এশিয়া কনজ্যুমার ফাইন্যান্স কর্পোরেটে আছি । 

আপনার কি কাজ করেন---- বললাম ( স্যার আমার কাজ শুনার পর বললেন আপনি কি এত চ্যালেঞ্জিং জব করতে পারবেন) আসলে হয়েছেটা কি যে চ্যালেঞ্জিংটা আমি নিজ থেকেই বাড়িয়ে বলেছি যেন স্যার বুঝতে পারে আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পারি । 

একজন লোক ৩০০ কোটি টাকা নিয়ে পাালিয়ে গেছে দেশ থেকে তার নাম বলুন--- পারিনি( স্যার বললো ব্যাংকে জব করেন এটি তো জানার কথা! নাম পিকে হাওলাদার) 

২য় জন জিজ্ঞেস করলেন বাজেট কি বলুন- বললাম 

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নাম জানেন?- জ্বি( বললাম)

 ৫ জন গভর্নরের নাম বলুন - ৩ জনের নাম বলার পর আর পারিনি আমতা আমতা করছিলাম( মানে বাকি ২জনের নাম বলতে পারিনি)

৫ জন বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদের নাম বলুন- এখানেও ৩ জনের নাম বলার পর আমতাআমতা.অবশ্য বকা দিয়েছে কারণ অর্থনীতির ছাত্র তাই পারিনি কেন! 

তৈরি পোশাক রপ্তানি করে সব চেয়ে বেশি আয় আশে কোন দেশ থেকে-- বললাম ১ম যুক্তরাষ্ট্র থেকে, ২য় কোন দেশ থেকে বললাম EU থেকে । 

সব চেয়ে বেশি রেমিটেন্স কোন দেশ থেকে আসলে বললাম সৌদি- আরব থেকে । 

বর্তমানে EU দেশ কয়টি- বললাম ২৬টি, আগে কয়টি ছিলো বললাম ২৭টি, কোন দেশটি বেরিয়ে গেছে-- বললাম যুক্তরাজ্য( আসলে বর্তমান দেশ ২৭টি, যুক্তরাজ্য সহ ছিলো ২৮টি । গ্রেট মিসটেক করছি এখানে যদিও কিছু বলেনি) 

3য় জন প্রশ্ন করলেন ৫ জন যুদ্ধাপরাধী নাম বলেন- এক নাগালে ৭ জনের নাম বলে দিছি । 

"যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল" এটি গঠন করা হয়েছে কি জন্য?- সুন্দর করে গুছিয়ে বললাম সাল সহ । 

এই ট্রাইবুনালের একজন পাবলিক প্রসেকিউটর ছিলেন তার নাম বলতে পারবেন-- চিন্তা করেও মাথায় আনতে পারিনি যদিও প্রশ্নকর্তা রানা বলার সাথে সাথে বলছি রানা দাস গুপ্ত । স্যার বলে উঠলেন ইউসুফ রিলাক্স, মার্ক ভালো আপনার সো নির্ভয়ে বলেন । একটু কনফিডেন্ট পেলাম স্যারের কথার শুনে । 

একজন সাক্ষীকে হাইকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ঘুম করেছে তার নাম কী বললাম সুখ রঞ্জণ বালি, তারপর বললেন কেনো ঘুম করেছে? বললাম । এরপর জানতে চাইলেন তিনি কার সাক্ষী ছিলেন বললাম-- সাইদির 

১৯৭১ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ৫জন রাজনীতিবিদের নাম বলুন-- ২ জনের নাম বলার পর স্যার বললেন বঙ্গবন্ধুর নামও বলতে পারতেন( আমি জাবাবে বলেছি স্যার উনাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনি বরং উনি তো সর্বকালের সেরা রাজনৈতিকবিদ) হয়তো উত্তরটি শুনে খুশি হয়েছেন । 

বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে?--- বললাম 

চতুর্থ স্যার বললেন জাতীয় আয়ের উৎস বলেন-- এই প্রশ্নের উত্তরে ভুল বলেছি ২৫ কারণ ভুলে শিক্ষাখাত বলে পেলেছি । কারণ এটি ব্যযের খাত । 

Blue Economy কী---- সুন্দর করে গুছিয়ে বলেছি উৎস সহ 

কল্যাণ রাষ্ট্র কাকে বলে-- প্রশ্নটির উত্তর ঠিকমত দিতে পারিনি 

এই সময়ের দেশের সব চেয়ে আলোচিত বিষয় কি?----- অনেকক্ষণ চিন্ত করার পরেও বলতে পারিনি, স্যার বললেন সংলাপ । তারপর বললেন সংলাপে কারা আসেনি, বললাম বিএনপি জামাত । 

প্রধান বিরুধী দলের নেতার নাম বলেন বললাম রওশন এরশাদ । 

আচ্ছা ইউসুফ আপনি মাদ্রাসা থেকে আলিম পাশ করার পর জেনারেলে কেন আসলেন--- বিস্তারিত নিজের মত করে বলেছি । 

এবার বলেন দাখিল আলিম কেনো মাদ্রাসায় পড়লেন--- এই জবাবটি বাবার আর দাদির উপর দিয়ে চালিয়ে দিয়েছি । 

বাবা কি করেন--- বললাম 

ইউসুফ ধরুন আপনার চাকরিটা হলো, করবেন? জ্বি স্যার করবো! বন্ড সই দিতে হবে! জ্বি স্যার দিবো । বুঝে দেখেন জয়েন দেয়ার পর ৩ বছরের আগে যেতে পারবেন না । যাবো না স্যার তবে ১০ম বা ৯ম গ্রেডের জব হলে চলে যাবো । তারপর কিছুই না বলে, বললেন ইউসুফ আপনি এবার আসুন । সুন্দর করে সালাম দিয়ে বেরিয়ে আসলাম । 

সামান্য একটা জবের ভাইভাতে এত প্রশ্ন করবে ভাবিনি, এর আগেও ১৭ম গ্রেডের জবের ভাইভা দিয়েছি, ১৬ তম গ্রেডের দিয়েছি, ১৩তম গ্রেডের দিয়েছি এমনকি দুদকের ১০তম গ্রেডের পর্যন্ত দিয়েছি বাট এত ঝামেলাতে পড়তে হয়নি । যাই হোক হলে হবে না হলে নাই । রিজিকের মালিক আল্লাহ । তিনিই ভাালো জানেন কোথায় আমার রিজিক আছে ।

অভিজ্ঞতাটি আমাদের কাছে শেয়ার করেছেন ঃ ইউসুফ খান

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url