কবুতর পোষ মানানোর উপায় - কবুতরের যত্ন কিভাবে নিতে হয় কিভাবে জানুন

আপনি কি নিজের শখের বশে পালা কবুতরকে নিজের আয়ত্তেবা সেই কবুতরকে পোষ মানানোর উপায় খুঁজছেন? যদি খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার খোঁজে সম্পূর্ণ হল এই পোস্টে আমরা কবুতর প্রশংসার উপায় গুলি সম্পর্কে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব।
                                                                                 
কবুতর

ভূমিকা

কবুতর একটি সর্ব পরিচিত পাখি। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ এটি শখের বসে পালন করে থাকে তবে অনেকে এটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য পালন করতে চাই। তাই আজকে আমরা এই পোষ্টের মধ্যে আলোচনা করব কিভাবে আপনি আপনার কবুতরকে নিজেরা আয়ত্তে আনবেন বা কবুতর পোষ মানানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হবে। তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি আপনার কবুতরকে নিজের হাতে কবুতরকে পোষ মানাবেন।

কবুতর এর ইংরেজি নাম কি?

কবুতরের ইংরেজি নাম হলোঃ-Pigeon

কবুতরের রং কি

কবুতরের রং সাধারণত পরিবর্তনশীল, তবে বেশিরভাগ পাখির লেজের দিকে একটি কালো ডগা সহ ডানার দুটি কালো ব্যান্ড নীলাভ ধূসর । তাছাড়া বেশিরভাগ পাখির গলায় যে পালক থাকে সেটা ইরিসেন্ট হয়ে থাকে।
কবুতরের যত্ন কিভাবে নিতে হয়
কবুতরের যত্ন নিতে হলে কিছু প্রধান বিষয় মনে রাখতে হবে। এই ধরণের প্রাণীদের সাথে যত্ন নিতে হলে নিম্নলিখিত কিছু বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে:
  1. **স্থায়িতা ও পরিপর্যায়**: কবুতরের জন্য একটি শান্ত এবং পরিপর্যায়ের জন্য অবস্থান নির্বাচন করুন। কবুতরের জন্য একটি সুরক্ষিত, শান্ত এবং পরিপর্যায়ের জন্য স্থান নির্বাচন করুন যাতে তারা সুস্থ এবং শান্ত থাকে।
  2. **ঘর তৈরি করুন**: একটি উচ্চ এবং সুরক্ষিত ঘর তৈরি করুন যাতে কবুতর বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপদ্রবীতের থেকে রক্ষা পায়।
  3. **পোষণ**: কবুতরের জন্য উচিত পোষণ প্রদান করুন। এই প্রাণীগুলি সাধারণভাবে দানা, ধান বা অন্যান্য শস্যসমূহ খেয়।
  4. **পানি**: পানি খুব গুরুত্বপূর্ণ। পায়রা প্রায়ই প্রীতি দিয়ে পানি পান করে। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পানি প্রদান করুন।
  5. **ভিন্নধরনের সহায়তা**: কবুতরের যদি কোনও অসুস্থ চিহ্ন দেখা যায়, তাদের জন্য একজন ভেটেরিনারি চিকিৎসকে সাহায্য চেয়ে দিন।
  6. **নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণ**: কবুতরের যদি কোনও অসুখ বা অস্বাভাবিক চিহ্ন দেখা যায়, তাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করুন এবং তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।
এছাড়াও, কবুতরের জন্য একটি শক্ত ও সুরক্ষিত ঘর তৈরি করার জন্য আপনি অস্ত্রের ব্যবস্থা করতে পারেন এবং যত্ন নিতে প্রস্তুত থাকতে পারেন।

পায়রার বৈশিষ্ট্য কি কি?

পায়রা একটি সুস্থ, শক্তিশালী, পুরাতাত্ত্বিক পশু যা মৌখিক বদলে সাধারণভাবে পার্থিব খাদ্য পরিপ্রেক্ষিত পোষণ প্রাপ্ত করে। এটি প্রধানত ঘাস ও উদ্ভিদ খায় এবং পানি পান করে।পায়রার বৈশিষ্ট্য কিছু হলো:
  1.  **শারীরিক বৈশিষ্ট্য**: পায়রা একটি দীর্ঘ শরীরের প্রাণী। পায়রার শরীর পারহিরিয়ান ভিত্তিতে উল্লিখিত, যা তাকে একটি চামড়া মুয়ালিবের রেজ দিয়ে ঢাকে।
  2.  **খাদ্য পরিপ্রেক্ষিত**: পায়রা সহজে ঘাস, পাতা, মৌ ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খায়।
  3.  **পোষণ পারিপ্রেক্ষিত**: পায়রা মুখের পারহিরিয়ান দিয়ে খাদ্য প্রাপ্ত করে।
  4.  **সমস্যার পূর্ণ থাকা**: পায়রা বোধগম্য হিসেবে খুব সামান্য সমস্যার মুখোমুখি হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে এই পাখিটি প্রায়ই সুস্থ থাকে।
  5.  **সামাজিক প্রাণী**: পায়রা সামাজিক প্রাণী, যারা গোষ্ঠী বা পারিবারিক পরিবারে থাকে।
  6.  **চলার পদ্ধতি**: পায়রা চারপাশের চারিদিকের পা দিয়ে চলে। তারা মজদুরী দেওয়ার জন্য উপযোগী।
  7.  **জিবিত কার্যক্রম**: পায়রা সাধারণভাবে ঘাস পছন্দ করে। তারা প্রায়ই উদ্ভিদ খায় এবং পানি পান করে।
  8. . **আলোকিত চোখ**: পায়রার চোখ ছোট্ট এবং আলোকিত। এটি তাদের পরিবেশ জিজ্ঞাসা করার জন্য উপযুক্ত করে।
  9.  **সংসার পদ্ধতি**: পায়রা একজন স্থিতিশীল পশু, যা প্রায়ই একা বা ছোট গোষ্ঠীতে থাকে। **শ্বাসকক্ষ**: পায়রার শ্বাসকক্ষ দুটি হয়ে থাকে। এটি তাদের শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে এই বৈশিষ্ট্যগুলি পায়রা প্রজাতি অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে।

কবুতর পোষ মানানোর উপায়:

আমরা অনেকেই নিজেদের প্রিয় পাখি বা কবুতরকে পোষ মানাতে চাই কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও সে কাজটা আমরা করতে পারিনা। আমরা নিজেকে পদ্ধতি গুলো তুলে ধরেছি সেগুলোও যদি ভালোভাবে মেয়েদের পাখির কবুতরের উপর এপ্লাই করেন তাহলে আশা করা যায় আপনার কবুতরের পোষ মানবে। তো চলুন নিম্নলিখিত ধাপ গুলি দেখে নেয়া যক।কবুতর পোষ মানানো বা কবুতরের যত্ন নেওয়ার উপায় নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
  1. **খাবারের যত্ন নিন**: কবুতরের জন্য আপনাকে উপযুক্ত খাবার দিতে হবে। সাধারণভাবে কবুতর ধান, মুড়ি, আটা, শাক-সবজি ইত্যাদি খায়। তাদের খাবারে যদি কোন অসুস্থ গোড়ালি থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
  2. **পানির সর্বোচ্চ সাবধানে পরিচালনা করুন**: কবুতরের জন্য পরিষ্কার এবং পানি উপলব্ধ থাকতে হবে। তারপরও, কবুতরের কুপিতে যাওয়া ক্ষেত্রে পানি সাবধানে পরিচালনা করতে হবে, যাতে কোনো বিপদ না ঘটে যায়।
  3. **বাসা নির্মাণ করুন**: কবুতরের জন্য একটি সুরক্ষিত ও স্থায়ি পাখি ঘর নির্মাণ করতে হবে। পাখি ঘরের আকার এবং ডিজাইন কবুতরের প্রকৃতি ও আপনার সুবিধানুযায়ী হতে পারে।
  4. **পোষের সময় ও কর্মকাণ্ড দেখুন**: কবুতরের যত্ন নেওয়ার সময় পোষের জন্য উপযুক্ত খাবার দিন এবং তাদের পোষের সময় কর্মকাণ্ড দেখুন। পোষের সময় তাদের সাথে থাকুন আপনি। এর ফলে আপনি তাদের স্বাস্থ্যের দেখভাল করতে পারেন।
  5. **কবুতর বা পাখির দিকে হাত বা পায়ের উপর চুমু প্রদান করা**: এই প্রথা প্রচুর জায়গায় চলছে, যেমন গ্রামে যেখানে পাখি প্রিয়। এটি মূলত বয়স্কদের মধ্যে প্রচুর প্রচলিত।
  6. **ফুল বা চারা দিয়ে চুমু প্রদান করা**: কবুতরকে পোষ মানানোর আর একটা উপায় হল কবুতরকে কিছু খেতে দিয়ে তাকে খাওয়ার সময় তার পাখা বা শরীরে চুমো প্রদান করা।
  7. **পানি প্রদান করা**: প্রাচীনকালে পানি দিয়ে পাখি পোষ মানানো হতো। আপনি চাইলে এই পদ্ধতিতেও অবলম্বন করতে পারেন।
এই সব ধাপগুলো মেনে কবুতর পোষের জন্য সাহায্য করতে পারে। তবে, এটি সতর্কতার সাথে করতে হবে, এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য বানাতে হবে।

পৃথিবীতে কত প্রজাতির কবুতর আছে?

কবুতরের মূলত তিন ধরনের ক্যাটাগরি থাকে, দুই জাত আর শত প্রজাতি
বাংলাদেশে কৃষি তথ্য সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে মোটি ১২০ প্রজাতির কবুতর আছে এবং এর বাংলাদেশে রয়েছে ২০ প্রজাতির কবুতর।

কবুতর কতবার বাচ্চা দেয়

পিক প্রজনন ঋতু জুলাই এবং মার্চের মধ্যে হয়ে থাকে তবে বন্য কবুতর পুরো বছর প্রজনন করতে পারে। মূলত প্রতি বছর 2 - 4 টি বাচ্চা দিয়ে 2 টি ডিম পাড়ে। কবুতরের ডিম ১৮ থেকে ১৯ দিন পর উঠে থাকে এবং ৩০ থেকে ৩৭ দিন পরে নিজের বাসা থেকে বেরিয়ে আসে।

কবুতর পালনে কেমন লাভ আছে?

কবুতর একটি পোষা বা শখের একটি প্রাণী। তবে কবুতর বিক্রি করে কেউ চাইলে অনায়াসে অনেক টাকা লাভ করতে পারে।তাই বর্তমানে দেশের অনেক নাগরিক বরং অন্যান্য দেশ যেমন ভারত ও শ্রীলঙ্কায় ও মানুষজন কবুতর পালনে নিজেদেরকে নিয়োগ করছে। দেশি জাতের ৩০ জোড়া কবুতরের পালনের ক্ষেত্রে প্রথমদিকে ৫,৪০০/- টাকা বিনিয়োগ বা ইনভেস্ট করলে বছর শেষে ৪ হাজার ৬০০ টাকার বেশি লাভ করতে পারে একজন মানুষ। কিন্তু উন্নত বা সৌখিন জাতের ৩০ জোড়া কবুতর পালনে প্রথম দিকে ১,৯৫,২০০/- টাকা বিনিয়োগ বা ইনভেস্ট করে বছর শেষে প্রায় ১,০৫,৩০০/- টাকা লাভ করতে পারে। তাই এটা পরিষ্কার যে কবুতরের ব্যবসা করে অনেক টাকা লাভ করা যায়।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ যদি এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন এবং এরকম আরও তথ্য বহুল পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন. ধন্যবাদ.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url